যেভাবে শুরু করবেন ই-কমার্স - অনলাইন ব্যবসার A টু Z গাইড লাইন

Home \ Apol \ যেভাবে শুরু করবেন ই-কমার্স – অনলাইন ব্যবসার A টু Z গাইড লাইন

বর্তমানে আধুনিক বিশ্বে ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহজলভ্য হওয়ার কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে অনেক সহজ এবং দ্রুততর। ফলশ্রুতিতে ব্যবসা-বানিজ্যের প্রচার ও প্রসার ঘটছে দ্রুতগতিতে।

বাংলাদেশে বর্তমানে যে ডিজিটাল ট্রেন্ডের সূচনা হয়েছে তারই পথ ধরে ই-কমার্স বা ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা বাণিজ্য আরো ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আপনি যদি একজন ই-কমার্স ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তবে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে সাম্প্রতিক সময়ের বেড়ে ওঠা ই-কমার্স সাইটগুলোকে।

ই-কমার্স ব্যবসায় শুরুর জন্য যে সকল বিষয়  বিবেচনা করতে হবে।

প্রথমেই ১০ টি বিষয়ে ই-কমার্স উদ্যোক্তাকে নজর দিতে হবে:-

১. আমাদের টার্গেট কাস্টমার কারা?
২. আমাদের পণ্যের সংস্থান কিভাবে হচ্ছে?
৩. সাপ্লায়ার এর কাছ থেকে আপনার পর্যন্ত কিভাবে প্রোডাক্ট পৌঁছাবে?
৪. আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন এবং লজিস্টিক্স সাপোর্ট
৫. পণ্যের বিপণণ কিভাবে হবে?
৬. পেমেন্ট সিস্টেম কিভাবে কাজ করবে?
৭. যারা ইনভেস্টর তারা কি পরিমাণ ইনভেস্ট করবে, এবং কতদিন পর্যন্ত করবে?
৮. ইনভেস্টমেন্ট এর রিটার্ণ কিভাবে হবে?
৯. একটা অনলাইন স্টোর এর ওয়েবসাইট তৈরী এবং এর পরবর্তী মেইন্টেনেন্স এর চ্যালেঞ্জ সমূহ।
১০. প্রমোশন ম্যাটিরিয়েল এর ডিজাইন এবং এর বিতরণ এর ব্যবস্থা করা।


ওয়েবসাইট এর টেকনিক্যাল এবং ফিচার সমূহঃ
১. ওয়েবসাইটটি ওপেন সোর্স টেকনোলজি দিয়ে তৈরি করতে হবে যেন যে কোন প্রকার কাস্টমাইজেশন করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস এখন অনেক জনপ্রিয় CMS যার মাধ্যমে খুব সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ভালো মানের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ফ্রি/পেইড নিতে থিমফরেস্ট এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট করতে পারেন।
২. কাস্টমার লগিন এবং রেজিস্ট্রেশন সুবিধা থাকতে হবে।
৩. ভেন্ডর / সাপ্লায়ার লগিন এবং রেজিস্ট্রেশন সুবিধা থাকতে হবে।
৪. প্রোডাক্ট ডিসপ্লে ক্যাটাগরি অনুযায়ী। তবে যে কোন ভাবে সার্চ করার সুবিধা থাকতে হবে।
৫. বাটন দিয়ে যে কোন পছন্দের পণ্য কেনার সুবিধা নিশ্চিত করা।
৬. পেমেন্ট মেথড (ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ভিসা, মাস্টারকার্ড, ক্যাশ অন ডেলিভারী ইত্যাদি)।
৭. ২৪ / ৭ দিনে কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার রাখা।
৮. মার্কেট ডেভেলপমেন্ট এর জন্যে কিছু রিসার্চ এবং সার্ভে সম্পন্ন করা যা পরবর্তীতে সাহায্য করবে মার্কেটিং প্ল্যান ডিজাইন করতে।
৯. কোম্পানির নাম অনুযায়ী ভালো মানের ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনতে হবে। কম খরচে ভালো সাপোর্ট সহ ডোমেইন কিনতে হলে Namecheap থেকে নিতে পারেন।
১০. ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো মানের হোস্টিং নিতে হবে যেন ওয়েবসাইটটি দ্রুত লোড হয় এবং ভালো সাপোর্ট পাওয়া যায়। কম খরচে ভালো মানের হোস্টিং নিতে হলে Namecheap  থেকে নিতে পারেন।

ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান খাত ওয়ারী (আনুমানিক ধারণা):-
১. ফুল ফাংশনাল ওয়েবসাইট মোটামুটি খরচঃ কমপক্ষে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
যেহেতু ই-কমার্স সাইটের অনেক কিছুই একটু জটিল এবং সাইজে অনেক বড় (এককালিন খরচ)।
কিন্তু এপল(Apol) আপনাকে দিচ্ছে স্বল্পমূল্যে। মাত্র ৩৫ হাজার টাকা থেকে বিভিন্ন ফাংশনালের উপর ভিত্তি করে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরীর সুযোগ করে দিচ্ছে। এছাড়াও ৮ বছর অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটার দ্বারা ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি ও বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় মেইনটেইন্স করে এপল(Apol)।
২. কোম্পানী হিসেবে নিবন্ধনঃ ট্রেড লাইসেন্স ২৫০০-৬০০০ টাকা।
৩. অফিস ভাড়া
৪. প্রোমশন ম্যাটেরিয়ালঃ (লিফলেট, স্টিকার, কাপড়ের ব্যনার, প্যানপ্লেক্স ব্যানার)
৫. স্যোসাল মিডিয়া ( ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম, লিংকইনড, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি) ও গুগল এডওয়ার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে বিজ্ঞাপন খরচ।

ই-কমার্স ব্যবসায়ের সফলতার জন্য অনলাইনে যে গুরত্বপূর্ণ বিষয় নজর রাখতে হবে :
১. অনলাইন মানুষের কাছে পৌঁছানো (Reach)
২. বিজনেস পেইজ ভিউ (Page View)
৩. পেইজ ভিউ, বাউন্স রেট এবং সাইটে কাটানো সময় (Page view, Bounce Rate and Time Spent on Site)
৪. জেন্ডার (Gender)
৫. শিক্ষা (Education)
৬. ই-কমার্স সাইট ভিজিট করার অবস্থান (Location)

বিশেষভাবে বলতে গেলে ব্যবসায় শুরুতেই আপনার আইডিয়া নিয়ে মার্কেট রিসার্চ খুবই জরুরী। বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে নিজের ই-কমার্সকে নিয়ে যেতে পারেন  শীর্ষস্থানে।

 

RELATED POSTS

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published.