ডিজিটাল মার্কেটিং ও আমাদের সেবা

ইন্টারনেট যাত্রার শুরু থেকে দেশজুড়ে সকল মানুষের মাঝে তা না পৌঁছালেও স্মার্টফোন আসার পরই ইন্টারনেট দুনিয়া মানুষের হাতে মুঠোয় চলে এলো এবং ডিজিটাল মার্কেটিংও সহজতর হল।

facebook-marketing-agency

২০১৩ সালের প্রথম দিকে যখন বাংলাদেশে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু হয়। তখন প্রায় ৫০ লাখ ফেসবুক ইউজার এর মধ্যে ৪৫ লাখ ছেলে ও ৫ লাখ মেয়ে ছিল। ২০১৮ সালের শুরুতে বর্তমানে দেশজুড়ে ফেসবুক ইউজার হল ২ কোটির বেশি। ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি; এ সংখ্যা থেকেই বোঝা যায় বাংলাদেশে ফেসবুক ইউজার কত দ্রুত বেড়েছে।

স্মার্টফোনের কারণেই ফেসবুক ইউজার এত বেড়েছে। যাদের কাছে আমরা আগে পৌঁছাতে পারতাম না তাদের কাছে খুব সহজে স্মার্টফোনের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছি আমরা। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কিছু চ্যানেল আছে।

যেমন- অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদি। সুতরাং স্মার্টফোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রত্যেকেই কোনো না কোনো চ্যানেল ব্যবহার করছেন। এই চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে খুব সহজেই ভোক্তার কাছে পৌঁছানো যায়। ফেসবুকে মার্কেটিং করার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে ১০ টি ব্রান্ডের সঙ্গে কাজ করেছি।

ফেসবুকের অ্যাডমিনরা বুঝতে পারে যে, ফেসবুকে কোনো পণ্যের মার্কেটিং কেমন হল তা দেখা যায়। এখানে লুকানোর কিছু নেই। ক্লিক করলেই আমরা দেখতে পাবে সে পোস্টটা কতটা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। সুতরাং এটি এতটাই স্বচ্ছ যে, এখানে গোপনীয়তার কোনো অবকাশ নেই।

আর এপল (Apol) ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ মূলত কন্টেন্ট বানানো। আমরা এজেন্সি হিসেবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যাডভার্টাইজিং সল্যুশন দিচ্ছি, প্রচারণা চালাচ্ছি। আর বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ৭০ শতাংশ ফেসবুকে হচ্ছে। ২০ শতাংশ মার্কেটিং হচ্ছে ইউটিউবসহ অন্যান্য স্যোসাল মিডিয়া প্লাটফর্মে।

স্মার্টফোনের কারণেই ফেসবুক ইউজার এত বেড়েছে। যাদের কাছে আমরা আগে পৌঁছাতে পারতাম না তাদের কাছে খুব সহজে স্মার্টফোনের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছি আমরা। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কিছু চ্যানেল আছে।

facebook-marketing-agency

যেসব প্রতিষ্ঠান খরচ বহন করতে পারে তাদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন যাচ্ছে অনলাইন নিউজ পোর্টালে। সাধারণত বড় প্রতিষ্ঠানই অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এটা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ১০ শতাংশ।

আমরা পণ্য বা সেবাকে আপনার টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ এনালাইসিস করি। যেমন ধরুন, হুয়াওয়ে সিরিজের নির্দিষ্ট মডেলের গ্রাহকদের কাছেই শুধু বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারি আমরা। আবার ধরুন, আইফোনের আপডেটেড আইওএস ব্যবহারকারীদের কাছেই শুধু বিজ্ঞাপনটি যাবে এটারও ব্যবস্থা করতে পারি আমরা। এত ডিটেইলে আমরা ফেসবুকে পোস্ট করতে পারি।

আমরা একটা নির্দিষ্ট এলাকা ধরেও প্রচারণা করতে পারব। অর্থাৎ, শুধু ওই এলাকার লোকই বিজ্ঞাপনটি পাবে, তাছাড়া বাংলাদেশের আর কেউ দেখতে পাবে না। ধানমন্ডি-৮ এ রবীন্দ্র সরোবরে একটা প্রোগ্রাম হবে। আমরা এমনভাবে বিজ্ঞাপনটি পোস্ট করেছি যে ধানমন্ডি-৮ এর তিন মাইলের মধ্যকার মানুষের কাছে পৌঁছাবে। তাছাড়া আর কেউ দেখতে পাবে না।

তবে বাজেটিং নির্ভর করে ক্লায়েন্টের ওপর। আমরা ডিজিটাল মার্কেটাররা যত বেশি বাজেট পাব তত আমার সুবিধা। কারণ এটা অনেকটা অংকের মতো। আমরা যখন একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার দ্বারা, ভালো কন্টেন্ট রাইটার ও ভিজ্যুয়ালাইজার দ্বারা একটা বিজ্ঞাপন নির্মাণ করবো, তার আবেদন ভোক্তা বা গ্রাহকের কাছে অনেক বেশি থাকেবে।

খরচের বড় আরেকটা অংশ যায় ফেসবুককে পেইড করে বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজে। যেমন আমি যদি ফেসবুককে বলি এই নাও ২০০ ডলার, ফেসবুক আমার বিজ্ঞাপন ৪০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। আবার আমি যদি ফেসবুকে ৫০০ ডলার বিনিয়োগ করি, তবে ফেসবুক আমার পোস্টটি ১ লাখ মানুষের কাছে দেখাবে।

এভাবেই দর্শকের কাছে পোস্টের বিশ্বায়ন হয়। কিন্তু আমরা কিছু টিউটোরিয়াল জানি যার মাধ্যমে ফেসবুকে ৫০০ জনের কাছে পৌঁছানো পোস্টটিকে ৫ হাজার জনে নিয়ে যেতে পারি। এটাই এপল (Apol) টিমের প্রধান ফেসবুক মার্কেটিং ফোকাস পয়েন্ট। যার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের অল্প বাজেটের বিজ্ঞাপনটি আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেই।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটি এপল (Apol) একটা ক্রিয়েটিভ টিমের মাধ্যমে সম্পন্ন করে। যেখানে ক্রিয়েটিভ টিমের সবাই মিলে আইডয়া ডেভলোপ করে, অভিজ্ঞ ভিজ্যুয়ালাইজেরের মাধ্যমে দর্শকের দৃষ্টিসন্দন হবে এমন বিজ্ঞাপন তৈরি করে।

ফেসবুক প্রমোশনাল ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে আমরা প্রডাক্ট বা সেবার বিষয়ে রিসার্চ করে একটা ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট আইডিয়া দাঁড় করাই। তারপর গ্রাফিক্স, এনিমেনশন (প্রয়োজন হলে শ্যুটিং করে) এর মাধ্যমে একটা অডিও ভিজ্যুয়াল তৈরি করি।

ফেসবুক বা স্যোসাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন তৈরি ও প্রচারের জন্য রয়েছে আমাদের বেশ কিছু প্যাকেজ। আপনি আপনার ব্যবসায়ের ধরন ও পরিসর অনুযায়ী যেকোন প্যাকেজ বেছে নিয়ে আপনার ব্যবসায়ের প্রসার করতে পারেন। যা ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যতিত অন্য মাধ্যমে এত অল্প সময় ও অল্প খরচে আপনার পণ্য বা সেবার এত প্রচার ও প্রসার সম্ভব নয়।